ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালানোর জন্য ইরানের সশস্ত্র বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তিনি বলেছেন, ইসরায়েলে অনেক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়ে ইরান তার শক্তির প্রদর্শন করেছে। রোববার ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমের খবরে সশস্ত্র বাহিনীকে খামেনির ধন্যবাদ জানানোর তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ১ এপ্রিল দামেস্কে ইরানের একটি কূটনৈতিক ভবনে ইসরায়েলি হামলার প্রতিশোধ হিসেবে গত ১৩ এপ্রিল প্রথমবারের মতো সরাসরি ইসরায়েলে হামলা চালায় ইরান। ওই দিন ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনা ও ঘাঁটি লক্ষ্য করে ৩ শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরানের সামরিক বাহিনী।
তবে ইরানের ছোড়া বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ইসরায়েল এবং তার মিত্ররা গুলি চালিয়ে ভূপাতিত করেছে। ইরানের হামলায় বড় ধরনের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানায় ইসরায়েল। তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ইরানি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর কয়েকটি ঘাঁটিতে কিছুটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
রোববার খামেনি বলেছেন, ‘‘কতটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল এবং কতগুলো তাদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছিল তা প্রাথমিক প্রশ্ন নয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, ইরান এই অভিযানে তার শক্তি প্রদর্শন করেছে।’’
পরে গত শুক্রবার গভীর রাতে ইরানের ইসফাহান শহরে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর ড্রোন হামলার কারণে ওই বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। আর তেহরান এই হামলার ঘটনাকে নিয়ে রীতিমতো হাস্যরস করে বলেছে, ইসফাহানে হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই।
খামেনি বলেছেন, সাম্প্রতিক অভিযানে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী সর্বনিম্ন ব্যয়ে সর্বোচ্চ ফল পেয়েছে। তিনি দেশটির সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের ‘‘নিরবচ্ছিন্নভাবে সামরিক উদ্ভাবন অব্যাহত রাখতে এবং শত্রুর কৌশল রপ্ত করার’’ আহ্বান জানিয়েছেন।
সূত্র: রয়টার্স।