বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, প্রবাসীদের কল্যাণে শেখ হাসিনার সরকার নিরন্তরভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের ভূমিকা আছে। তাদের পাঠানো রেমিটেন্স আমাদের উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি। সেই প্রবাসীদের জন্য এবং তাদের কল্যাণে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সবসময়ই কাজ করে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে চাঁদপুর শহরের বাবুরহাট সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের ব্যবস্থাপনায় প্রবাসী কর্মীদের প্রতিবন্ধী সন্তানদের প্রতিবন্ধী ভাতা বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, একটা সময় ছিল প্রবাসীরা পদে পদে নানা ধরনের প্রতারণা ও হয়রানির শিকার হতে হতো। এখন ওইসব জায়গাগুলোতে কাজ করা হয়েছে। এখন ঢালাওভাবে প্রতারণার সুযোগ অনেক কমে গেছে। এখন বৈধ ভিসা আগের তুলনায় অনেক বেশি। অবৈধভাবে যাওয়ার সংখ্যা হয়তো একেবারে কমে আসছে। বিমান বন্দরে যেখানে আগে হয়রানি ছিল, সেখানে সেবা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন দেশের দূতাবাসগুলো প্রবাসীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। প্রবাসীদের জন্য প্রতিটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পুলিশসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রয়েছে।প্রবাসীরা যাতে দেশে ফিরে ঋণ নিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারেন সেই ব্যবস্থাও করে দিয়েছে সরকার। প্রবাসীরা যখন দেশে ফিরে আসে তখন তাদের কর্মসংস্থান তৈরি করার জন্য ঋণ প্রদান করা হয়। যেন তাদের জমি বিক্রয় করতে না হয়। তারা ফিরে এলে যেন বিনিয়োগ করতে পারেন। এজন্য তাদের ঋণ প্রদান করা হয়।
দীপু মনি বলেন, কেউ যদি প্রবাসে মৃত্যুবরণ করেন। তার মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে এবং তার পরিবারকে দান/অনুদান দেওয়ার ব্যবস্থাও সরকারের পক্ষে থেকে করা হয়। বিদেশে যাওয়ার সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঠিক করে নিতে হবে। বৈধ পথে বৈধ ভিসা ছাড়া কেউ বিদেশ যাবেন না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (রিভার) শ্রীমা চাকমা, চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত জামিল সৈকত, চাঁদপুর জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক রজত শুভ্র সরকার, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ সফিকুর রহমানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রবাসী কর্মীর প্রতিবন্ধী ৩৭ জন সন্তানকে ৪ লাখ ৫৬ হাজার টাকার ভাতার চেক বিতরণ করেন মন্ত্রী।