Headline :
মোল্লারহাট উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ককে দল থেকে অব্যাহতি যমুনা ব্যাংকের অনিয়ম তদন্তে দুদকঃ এমডির সহযোগিতায় সাবেক মন্ত্রী পূত্রদের ৭০ কোটি টাকা লূটপাট বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি খাত: দূতাবাস নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে হাসান কিরণের ১০ দফা সুপারিশ ছাত্র আন্দোলনে নিহত দিনমজুর পরিবারের পাশে তারেক রহমান ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ ‘শিক্ষার্থীদের গিনিপিগ বানিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা নষ্ট করা হয়েছে মেহেরুন মনসুরের বিলাসবহুল জীবনযাপনের অর্থের মূল উৎস কোথায় ? আটদিনের সফর গড়াচ্ছে আট মাসে, আটকেপড়া নভোচারীরা ফিরবেন যেভাবে চুক্তি বাতিলের পর থেকে লাপাত্তা মিথিলা-অর্পণা

ত্রিপুরায় বন্যা : নিহত বেড়ে ২২

Reporter Name / ২৩ Time View
Update Time : শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে বন্যায় এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২২ জনে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা শুক্রবার এক ফেসবুক পোস্টে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ফেসবুক পোস্টে পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বৃহস্পতিবার রাজ্যের শান্তিরবাজার জেলার দেবীপুরের অশ্বিনী ত্রিপুরা পাড়া এলাকা ভূমিধসে ১০ জন নিহত হয়েছেন। এতে মৃতের সংখ্যা ২২ জনে পৌঁছেছে।

প্রসঙ্গত, গত পাঁচ দিন ধরে ভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত ত্রিপুরার বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ অবস্থায় পৌঁছেছে। এরমধ্যেই ভারতের আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি) তাদের পূর্বাভাসে জানিয়েছে, শিগগিরই এই বর্ষণ থামবে না; কারণ বঙ্গোপসাগরের উত্তরাংশে একটি নিম্নচাপ তৈরির পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আগামীকাল থেকে সেটি গঠিত হওয়া শুরু করবে।

আইএমডির পূর্বাভাস বলছে, বঙ্গপোসাগরের নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হওয়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে। ফলে এই নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আরও কয়েকদিন ভারী বর্ষণ হতে পারে ত্রিপুরায়।রাজ্য প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রবল বর্ষণ ও বন্যার কারণে গত ৫ দিনে ত্রিপুরার বিভিন্ন এলাকায় মোট ২ হাজার ৩২টি ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার অন্তত ১৭ লাখ মানুষ। তাদের মধ্যে বিভিন্ন ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ৬৫ হাজার ৪০০ জন।

বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গোমতীর তীরবর্তী অঞ্চল এবং ত্রিপুরার দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলাগুলো। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো থেকে লোকজনদের সরিয়ে আনতে দু’টি হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ত্রিপুরার কর বিষয়ক সচিব ব্রিজেশ পান্ডে। রাজ্য সরকার থেকে হেলিকপ্টার দু’টি সরবরাহ করা হয়েছে।

এছাড়া বন্যা উপদ্রুত বিভিন্ন এলাকার লোকজনকে আশ্রয় প্রদান এবং ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার পুরো দায়েত্ব রয়েছে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর আসাম রাইফেলস ইউনিট। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার আগ পর্যন্ত রাজ্যের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *