গতকাল (২২ আগস্ট বৃহস্পতিবার) তোপখানা রোডস্থ হোটেল নিউইয়র্কের টপ ফ্লোর রেষ্টুরেন্টে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক পরিচালক ও ডেনমার্ক বিএনপি’র সভাপতি, বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য গাজী মনির আহমেদ—এর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন (বাংলাদেশ চ্যাপ্টার) এর সভাপতি এম. এ. হাশেম রাজুর সভাপতিত্বে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশনের অ্যাম্বাসেডর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান, ন্যাশনাল বোর্ডের নির্বাহী সদস্য মোঃ আব্দুল গণি, ল অ্যাফেয়ার্স অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী এ্যাড. সিরাজুল ইসলাম সরকার, সদস্য মোস্তাক মান্নান, বাবুল বেপারী, আবু বায়েজীদ খান মিতুন, আরিফুর রহমান মজুমদার প্রমুখ।
মতবিনিময়কালে গাজী মনির আহমেদ বলেন, স্বৈরশাসক খুনি হাসিনার রোষানলের কারণে দীর্ঘ ১৪ বছর প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে আসতে পারিনি। আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার আমার বিরুদ্ধে অন্যায় ভাবে রাষ্ট্রদ্রোহিতা সহ ১২টি মামলা দায়ের করে। প্রবাস জীবনে থাকা অবস্থায়ই মা—বাবা ও এক ভাইকে হারিয়েছি। কিন্তু স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকার আমাকে দেশে আসতে দেয়নি। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ফেনীর ছাগলনাইয়ায় আমার পৈত্রিক বাড়ী দখল করে রেখেছে। আমাদের অকুতোভয় ছাত্র—জনতা তাঁদের জীবন দিয়ে আমাদেরকে আওয়ামী লীগের জুলুম থেকে আমাদের মুক্তি দিয়েছেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সকল শহীদ ও অংশগ্রহণকারীদের স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে দলমত নির্বিশেষে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন (বাংলাদেশ চ্যাপ্টার) এর সভাপতি এম. এ. হাশেম রাজু বলেন, গত ১৭ বছরের দুঃশাসনে পিলখানা, শাপলা চত্ত্বর, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সহ যত মানুষ হত্যা ও গুমের শিকার হয়েছেন সকল হত্যার বিচার করতে হবে। দ্রুততম সময়ে খুনি হাসিনা সহ জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ পরিবার ও আহত পরিবারগুলোকে পুনর্বাসন করতে হবে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশনের অ্যাম্বাসেডর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান বলেন, একটা জাতিকে ধ্বংস করবার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করাই যথেষ্ট। আওয়ামী লীগ সেই কাজটাই করেছে। জাতিকে মেধা শূন্য করার লক্ষ্যে দেশের গোটা শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। তাদের সেই পরিবর্তনগুলো অনতিবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
মতবিনিময় শেষে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন ও দাঁড়িয়ে স্যালুট প্রদান করা হয়।