ভারতে বৃষ্টি না হওয়ায় এবং উজানে ঢলের পানি কমে যাওয়ায় বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ধলাই নদীর পানি। এছাড়া মনু নদীর পানিও কমতে শুরু করেছে।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আকস্মিক বন্যায় হঠাৎ করে তলিয়ে যায় মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া, জুড়ী, কমলগঞ্জ, রাজনগর ও সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের অসংখ্য বসতঘর, আঞ্চলিক সড়ক, গ্রামীণ সড়ক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এতে কমপক্ষে আড়াই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন। মনু, ধলাই ও জুড়ী নদীর বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে সড়ক যোগাযোগ। চার উপজেলার সঙ্গে জেলা সদরের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে পানি, প্লাবিত হয় নতুন নতুন এলাকা। দুর্ভোগে পড়েন কয়েক হাজার মানুষ।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে ধলাই নদীর পানি বিপদসীমার ৮১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এছাড়া জেলার মনু নদী (রেলওয়ে ব্রিজ) বিপদসীমার ২৯ সেন্টিমিটার, চাঁদনীঘাট এলাকায় ১১৫ সেন্টিমিটার, জুড়ী নদীতে বিপদসীমার ১৯৬ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল বলেন, ধলাই নদীতে পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানে বৃষ্টি না হওয়ায় মনু নদীর পানিও কমতে শুরু করেছে। বিকেলের মধ্যে মনু নদীতে পানি আরও কমবে।