ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, এবারের রমজান ও ঈদুল ফিতরে দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে জনগণ জর্জরিত। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণ দিশেহারা। চারিদিকে দুর্ভিক্ষের আলামত লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রাজধানীতে ভিক্ষুকের ঢল এর আগে ঢাকাবাসী দেখেনি।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে দেশবাসীর প্রতি আন্তরিক মোবারকবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে গণমাধ্যমকে পাঠানো এক শুভেচ্ছা বাণীতে এ দাবি করেন তিনি।
চরমোনাই পীর দেশের সর্বস্তরের মানুষের মঙ্গল কামনা করে বলেন, ঈদুল ফিতর মুসলমানদের জন্য পরম আনন্দের দিন। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনা ও ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে অতিবাহিত করার পর এ দিনটি আমাদের জন্য খুশির বার্তা নিয়ে আসে। যার মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রেরণা পায়। ধনী-গরীব, সাদা-কালো, ছোট-বড় সব ভেদাভেদ ভুলে যায়।
ইসলামী আন্দোলনের আমীর বলেন, এবারের রমজান ও ঈদুল ফিতরে মানুষ দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে জর্জরিত। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণ দিশেহারা। চারিদিকে দুর্ভিক্ষের আলামত লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রাজধানীতে ভিক্ষুকের ঢল এর আগে ঢাকাবাসী দেখেনি। দেশ ও দেশের জনগণ আজ ঋণে জর্জরিত। সরকারকে আবার ঋণ করে বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতে হচ্ছে।
তিনি দাবি করে বলেন, দেশের স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্বও আজ হুমকির মুখে। ভারত সীমান্তে বিজিবিসহ বাংলাদেশি নাগরিকদের গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। মিয়ানমার সীমান্তও অরক্ষিত হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, এবার এমন এক মুহূর্তে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে, যখন হিংস্র হায়েনা ইসরায়েলিদের হাতে প্রতিনিয়ত ফিলিস্তিনের মা-বোন, শিশুরা পাখির মত হত্যার শিকার হচ্ছে। ইসরায়েলের যুদ্ধবাজ নেতানিয়াহু সরকার কারো কথায় কর্ণপাত করছে না। এমনকি যুদ্ধ বন্ধে জাতিসংঘের সিদ্ধান্তকেও তোয়াক্কা করছে না। সম্প্রতি গাজার প্রায় ৩৪ হাজার ফিলিস্তিনি নারী-পুরুষ শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। ৭০ হাজার নারী, শিশু ও পুরুষ আহত হয়ে কাতরাচ্ছে। ২০ লাখ ফিলিস্তিনিদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। ইসরায়েলের এ বর্বরোচিত গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। এরপরও বিশ্ব মুসলিম কেন তাদের পাশে দাড়াচ্ছে না?