চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ভারতের জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির (এনসিএ) কোচের দায়িত্ব শেষ হওয়ার কথা ছিল সাবেক ব্যাটসম্যান ভিভিএস লক্ষ্মণের। তার আগেই তার মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়েছে। মাঝে সাময়িক সময়ের জন্য জাতীয় দলেরও প্রধান কোচ ছিলেন লক্ষ্মণ। তবে পরে আবার ফিরে যান এনসিএ–তে। আবার নতুন করে শোনা গিয়েছিল আইপিএলের একটি ফ্র্যাঞ্চাইজির দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন তিনি, এরই মাঝে এলো তার পুরোনো দায়িত্বের মেয়াদ বাড়ানোর খবর।
এনসিএ’র দায়িত্বে থাকার কারণে আইপিএলে কোনো দলের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেননি লক্ষ্মণ। এবারও তাই ঘটতে যাচ্ছে। তার সঙ্গে সিতাংশু কোটাক, সাইরাজ বাহুতুলে এবং হৃষীকেশ কানিতকরও থাকছেন বেঙ্গালুরুতে অবস্থিত জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে।
ইএসপিএন ক্রিকইনফো বলছে, এনসিএ’র অধীনে কমপক্ষে ১০০ পিচ এবং ইন্ডোরে ৪৫ পিচের সুবিধা এবং আন্তর্জাতিক মানের তিনটি মাঠ প্রস্তুতের কাজ চলছে। যেখানে থাকছে একটি আধুনিক রিহ্যাব সেন্টার, আবাসিক সুবিধা, অলিম্পিক আকৃতির পুল। জাতীয় দলের কোনো ক্রিকেটার ইনজুরিতে পড়লে তাদের পুনর্বাসনের লড়াই করতে দেখা যায় এই ক্রিকেট একাডেমিতে। এ ছাড়া রাহুল দ্রাবিড় এনসিএ’র কোচ থাকাকালে সেখান থেকে জাতীয় দলের খেলোয়াড় প্রস্তুতের একটি ধারা তৈরি করে দিয়েছেন।
রাহুল দ্রাবিড় ভারতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর এনসিএ-র দায়িত্ব দেওয়া হয় লক্ষ্মণকে। এর মাঝে তিনি দুয়েক বার ভারতীয় দলের কোচও হয়েছিলেন। দ্রাবিড়কে বিশ্রাম দিলে লক্ষ্মণকে কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সাময়িকভাবে। এখন লক্ষ্মণের লক্ষ্য ভারত ‘এ’ দলকে জেতানো। তবে আন্তর্জাতিক ব্যস্ত সূচির কারণে তাকে ‘এ’ দলের খেলাগুলো নির্বিঘ্নভাবে আয়োজনে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হতে পারে।
লক্ষ্মণ এনসিএ-তে নিজের প্রথম তিন বছরের মেয়াদে ইনজুরি ব্যবস্থাপনা, খেলোয়াড়দের রিহ্যাবিলিটেশন, কোচিং প্রোগ্রাম, সিনিয়র দলগুলোর জন্য প্রস্তুতিমূলক পরিকল্পনা সাজানো, বয়সভিত্তিক দল ও নারী ক্রিকেটের উন্নয়নে কাজ করে আসছেন।