বল প্রয়োগ ও দুর্বৃত্তায়নের অভিযোগে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরিনের সকল পদ স্থগিত করেছে দল। একই সঙ্গে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক সব কার্যক্রমে তার অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের রাতে জনস্বার্থের পুকুর নিজের বলে বলপূর্বক ভরাটের ঘটনায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
পুকুর ভরাটের ঘটনায় শিরিনের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। পরিবেশ অধিদপ্তর বরিশালের উপ-পরিচালক জহিরুল ইসলাম তালুকদার জানান, আমরা ইতোমধ্যে সেখানে গিয়ে পুকুর ভরাট বন্ধ করেছি। যারা এ পুকুর ভরাট করেছে তাদের বলা হয়েছে বালি অপসারণ করে পুকুরটিকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে। তা না করে দিলে আমরা ভরাটকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করবো।
জানা গেছে, ৫ আগস্ট সরকার পতনের বিজয় উল্লাসে যখন নগরবাসী ব্যস্ত তখন নগরীর ব্রাউন কম্পাউন্ড এলাকায় জনস্বার্থে ব্যবহার্য পুকুরে বালু ফেলে ভরাট করে দখলে নেন বিলকিস জাহান শিরিন ও তার পরিবার। রাতের বেলা ট্রাকের পর ট্রাক বালু এনে ফেলা হয় পুকুরটিতে। বালু ফেলে পুকুর ভরাট কাজের তত্ত্বাবধায়ন করেন শিরিনের ছোট ভাই শহিদুল ইসলাম শামিম।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দখল করা পুকুরটির আনুমানিক মূল্য ন্যূনতম ১০ কোটি টাকা। পুকুর ভরাটের খবর পেয়ে রোববার ঘটনাস্থল পরির্দশ করে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
তবে অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরিন বলেছেন, একটু টেনশনের মধ্যে আছি কেন্দ্র থেকে একটি নোটিশ পেলাম। কী কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা স্পষ্ট করা হয়নি। আশা করছি দ্রুতই এই অবস্থার উত্তরণ হবে।
তিনি বলেন, পুকুর ভরাটের সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
উল্লেখ্য, ১৯২২ সালে এমপি ব্রাউন নামে এক পর্তুগীজ ব্যবসায়ীর স্ত্রী পুকুরটি সাধারণ মানুষের ব্যবহার্য হিসেবে দলিল করে দেন। সেই থেকেই ওই এলাকার হাজার হাজার মানুষ পুকুরটি ব্যবহার করে আসছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি বিএনপি নেত্রী বিলকিস জাহান শিরিন পুকুরটি নিজের বলে দাবি করেন। সর্বশেষ আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিন (৫ আগস্ট) বালু ফেলে পুকুরটি ভরাট করে ফেলেন তিনি।