প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেল ৪টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ ঘোষণা দেন।
সেনাপ্রধান বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্তে এসেছেন তারা। এই প্রস্তাব নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে যাবেন সেনাপ্রধান। এরপরই ঘোষণা হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান কে হবেন। এসময় সেনাপ্রধান, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ঘরে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান।
সেনাপ্রধানের ভাষণের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে কারা থাকছেন সেই আলোচনা চলছে সর্বত্র। এর মধ্যে ১৫ জনের একটি নামের তালিকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যাদের নাম আলোচনায় আছে তারা হলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. আসিফ নজরুল , অর্থনীতিবিদ ও শিক্ষক আনু মুহাম্মদ , ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন , সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ , আইনজীবী ও জনপ্রিয় সংবাদকর্মী (দেশ ও সমাজের ভাল কাজের জন্য ভাইরাল ব্যক্তি) মানজুর আল মতিন পীতম ,শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের জেনারেল বডির মেম্বার (দেশ ও সমাজের ভাল কাজের জন্য ভাইরাল ব্যক্তি) মো. আমিনুল ইসলাম বুলু , অভিনেতা প্রিন্স মাহমুদ, মহিউদ্দিন রনি (দেশ ও সমাজের ভাল কাজের জন্য ভাইরাল ব্যক্তি) এছাড়া আরো আছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম,হাসনাত আব্দুল্লাহ,আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া,আবু বাকের মজুমদার, রিফাত রশিদ,নুসরাত তাবাসসুম প্রমুখ।দেশ ও জনগনের স্বার্থে সুশীল সমাজ,বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে আরো কিছু নাম আসতে পারে।
অন্তর্বর্তীকালীন ছায়া সরকারের কাজ হবে ৬ মাসের মধ্যে একটি সংবিধান সভা গঠনের জন্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। নির্বাচিত সংবিধান সভা এমন এক গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রস্তাব করবে, যে সংবিধানে স্বৈরতান্ত্রিক, জনবিদ্বেষী, বৈষম্যমূলক কোনো ধারা থাকবে না। সেই সংবিধানের ভিত্তিতে সরকারের পক্ষে অবিলম্বে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করা হবে।