আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতুন পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা প্রণয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
সোমবার (৫ জুলাই) রাত ৯টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সংবাদ সম্মেলনে তারা এ তথ্য জানান।
সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখার জন্য আমাদের সবার সঙ্গে বসতে হবে। আমরা সকল সমন্বয়ক কমিটির সঙ্গে আলোচনা করব, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করব, রাষ্ট্রের সকল স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করব। তবে নির্দিষ্ট কাদের সঙ্গে বসব তা আমরা পরবর্তীতে জানিয়ে দেব। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা দেওয়া হবে।
নাহিদ বলেন, এই বিজয় শহীদদের উৎসর্গ করা হলো। ফ্যাসিবাদকে শুধু বিতাড়িত নয়, এই ফ্যাসিবাদী কাঠামোকে পরিবর্তন করতে হবে। এজন্য আমরা আন্দোলনের প্রথম ধাপ গিয়েছি, এখন আমরা দ্বিতীয় ধাপে আছি। তারা গুম, খুন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত। সে পালিয়ে গেলেও তাই তাকে বিচারের আওতায় আনা হবে। কোনো ফ্যাসিবাদের মদদদাতা সরকারকে আমরা সমর্থন করব না।
বিভিন্ন সমন্বয়কসহ আটক করা সবাইকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তির ঘোষণা করছি। আমরা তাদের রাজপথে দেখতে চাই। পরবর্তী ঘোষণার আগে যেন তারা রাজপথে থাকে। এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা আমাদের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করছে। কোনো সাম্প্রদায়িক হামলা, সহিংসতা চলবে না। সবাইকে শান্তিপূর্ণভাবে থাকার আহ্বান জানানো হলো। কোনো নাশকতা বা বিভাজনের চেষ্টা করা হলে জনগণকে তা রুখে দিতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনাকে উৎখাত করেছি। এটা আমাদের আন্দোলনের প্রথম ধাপ ছিল। এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হলো দ্বিতীয় ধাপ। এ পর্যন্ত আপনারা রাজপথে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান গ্রহণ করুন। আপনারা রাজপথ ছাড়বেন না, কোনো সহিংসতা করবেন না।
আসিফ মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের কোনো আন্দোলনে এমন হতাহত হয়নি। কিন্তু এই ফ্যাসিবাদী সরকার এটি ঘটিয়ে এখন দেশ ছেড়ে পালিয়েছি। আমরা ছাত্র জনতার সফল অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়েছি। আজ সকালেও আমাদের উপর গুলি করা হয়েছে। তাই এই ফ্যাসিবাদের বিচার করতে হবে। আমরা আইন তুলে নেব না। একটি প্রক্রিয়া অবলম্বন করে দ্রুত তাদের বিচারের আওতায় আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে সুন্দর ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়ে নাহিদ বলেন, সাংবাদিক ভাইয়েরা আমাদের সকল আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নিয়েছেন। আমরা তাদের সঙ্গে সবাইকে সুন্দর আচরণ করতে বলব। কেউ যেন তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ না করেন সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।