ফাইনালের ভারতের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। মার্কো জানসেনের প্রথম ওভারে বিরাট কোহলির ব্যাট থেকে এলো ৩ চার। এরপর কেশব মহারাজের ওভারে শুরুতেই দুই চার তুলে নেন রোহিত শর্মা। ভারতের উড়ন্ত শুরুর পর বড় একটা স্কোরের প্রত্যাশা করেছিল সবাই। কিন্তু এরপরেই মহারাজের ম্যাজিকাল মোমেন্ট।
কেশব মহারাজের তিন বলের ব্যবধানে দুই উইকেট আর কাগিসো রাবাদার বলে সূর্যকুমারের ফেরা, ভারতকে পিছিয়ে দেয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট ছিল। অক্ষর প্যাটেল আর বিরাট কোহলি এরপর সময় নিলেন খানিক। ইনিংস মেরামত করে ১০ ওভারে দলের রান নিলেন ৭৫ পর্যন্ত। ইনিংসের মাঝপথে এমন স্কোরে সন্তুষ্ট হতেই পারে ভারত।
পাওয়ারপ্লেতে রানের লাগাম টানার কাজটা বেশ ভালোভাবেই করেছেন কেশব মহারাজ। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে প্রোটিয়া এই বোলার পাওয়ারপ্লেতে গড়ে খরচ করেছেন মোটে ৭.২৩ রান। এসময় তিনি তুলে নিয়েছেন ৬ উইকেট। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালেও দ্বিতীয় ওভারে তাকে আনলেন এইডেন মার্করাম।
ইনফর্ম রোহিত শর্মা আউট হলেন পরপর দুই চার মেরে। পরের সুইপ করেছিলেন, কিন্তু সরাসরি ক্যাচ গেছে স্কয়ার লেগে থাকা ক্লাসেনের হাতে। একটু গতি কমিয়ে বল করেছিলেন মহারাজ। সেটিই কাজে লেগেছে। আর ওভারের শেষ বলে আউট ঋষভ পন্তও! তিনিও সুইপ করেছিলেন, ক্যাচ ওঠে ওপরে। যেটি নেন কুইন্টন ডি কক।
কাগিসো রাবাদা বরাবরই ভারতের ব্যাটারদের বিপক্ষে সফল। তাকেই আক্রমণে আনা হলো এরপর। টানা উইকেট হারিয়ে খানিক চাপে পড়েছে ভারত। বিরাট কোহলি আর সূর্যকুমার যাদব দুজনকেই দেখা গেল কিছুটা রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে।
কাগিসো রাবাদা এর আগে টি-টোয়েন্টিতে সূর্যকে ফিরিয়েছেন ৩ বার। আজও তারই বলে আটকালেন সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার। নিজের পছন্দের ডিপ ফাইন লেগে উড়িয়ে খেলতে চেয়েছেন। কিন্তু আরও একবার হেনরিখ ক্লাসেনের বিশ্বস্ত হাতে জমা পড়ল ক্যাচ।
ভারত আরও একবার বিপদের মুহূর্তে দলের হাল নিতে পাঠাল অক্ষর প্যাটেলকে। নিরাশ করেননি তিনি। বিরাট কোহলির সঙ্গে ঠিকই দলের রানের চাকা ঘুরিয়েছেন। সুযোগ পেলেই বল করেছেন সীমানাছাড়া। পাওয়ারপ্লেতে ৪৫ রান ওঠানোর পর ভারত রান কিছুটা হলেও তুলেছে। অক্ষর প্যাটেলকে নিয়ে ভারতের বাজি কিছুটা হলেও কাজে লেগেছে।