এখনও বড় পর্দায় হাত মেলে ধরলে ভক্তরা মুগ্ধ হয়ে দেখেন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানকে। বিশ্বজুড়ে রয়েছে তার ব্যাপক খ্যাতি। পেয়েছেন কোটি সংখ্যক ভক্ত-অনুরাগী।
বয়স ষাটের গোড়ায় এসেও বক্স অফিসে এক বছরেই তিনটি ছবি হিট করিয়েছেন শাহরুখ। তাই সিনেমার জগতে শাহরুখের বয়স যেন দুর্বোধ্য। কিন্তু তার ভক্ত অনুরাগীরা শাহরুখের বয়স নিয়ে মাথা না ঘামালেও ২৬ বছর আগে থেকেই নিজেকে বয়স্ক ভাবতে শুরু করেছিলেন এই বলিউড নায়ক।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখের অতীত খুঁড়ে সেই কথা প্রকাশ্যে এনেছিলেন পরিচালক ফারাহ খান। ১৯৯৮ সালে মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্র ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ ছবির নায়ক শাহরুখের বয়স তখন ৩০ বছর। এই ছবিতে এক কলেজ পড়ুয়ার ছাত্রের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন বলিউড বাদশাহ। ফারাহ জানান, সে সময় করণ জোহর পরিচালিত এই ছবিতে অভিনয় করার নাকি একেবারেই ইচ্ছে ছিল না শাহরুখের।
এই ছবিতে কোরিয়োগ্রাফার হিসেবে কাজ করেছিলেন ফারাহ। জানান, কলেজ পড়ুয়ার চরিত্র বলেই নাকি আপত্তি ছিল শাহরুখের। তিনি বলেন, ‘শাহরুখ মরতে মরতে এই ছবিতে অভিনয় করেছিল। শাহরুখ বলতো, কলেজ পড়ুয়া হিসেবে ওই চরিত্রে ওকে নাকি খুব বয়স্ক লাগবে। তখন ওর বড় জোর ৩০ বছর বয়স।’
এরপর ২০০৪ সালে ‘ম্যায় হুঁ না’ ছবিতে শাহরুখকে অভিনয় করানোর সময় বেশ চিন্তিত ছিলেন ফারাহ খান। তিনি ভেবেই রেখেছিলেন, শাহরুখকে অন্তত কলেজ পড়ুয়ার চরিত্রে অভিনয় করানো যাবে না। আর তাই নতুন করে অভিনেতার জন্য চিত্রনাট্য লিখেছিলেন তিনি। সেই ছবিতে সুস্মিতা সেনের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন বলিউড বাদশা।
উল্লেখ্য, বর্তমানে শাহরুখ ব্যস্ত রয়েছেন তার পরবর্তী ছবি ‘কিং’ নিয়ে। এ ছাড়াও ‘টাইগার ভার্সাস পাঠান’ নামের একটি চলচ্চিত্রের কাজ তার হাতে রয়েছে।