ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট)-এ ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি অত্যাধুনিক ন্যানো ল্যাব স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, বুয়েটে ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি অত্যাধুনিক ন্যানো ল্যাব স্থাপনের কাজ শুরু করার অনুমতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যেটা ইতোমধ্যেই টেন্ডার প্রক্রিয়ায় চলে গেছে।
প্রতিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট)-এ ইনস্টিটিউট অব রোবটিক্স অ্যান্ড অটোমেশন (আইআরএবি) এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ ঘোষণা দেন।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, বুয়েটের শিক্ষার্থীদের রোবোটিক্স সম্পর্কে আরও বেশি করে শেখা ও জানার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বুয়েটে ইনস্টিটিউট অব রোবটিক্স এন্ড অটোমেশন আমরা স্থাপন করছি। আগামী ২-৩ দশকে প্রযুক্তি আমাদের সবকিছুর আমূল পরিবর্তন করে দেবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিক্ষাকে খরচ নয়, বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করতেন। আমরা রোবোটিক্সকে শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় নয়, কলেজ, স্কুল, এমনকি প্রাইমারি স্কুল পর্যন্ত নিয়ে যেতে চাই।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ভাই নির্দেশনা দিয়েছেন রোবোটিক্স, মাইক্রোচিপ ডিজাইনিং, এআই, এবং সাইবার সিকিউরিটি এই চারটি ফ্রন্টিয়ার টেকনোলোজিতে দক্ষ জনবল ও কর্মী তৈরি করতে। আগামীর স্মার্ট পৃথিবীতে স্মার্ট বাংলাদেশের নেতৃত্ব তারাই দেবে যারা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবোটিক্স, মাইক্রোচিপ ও সাইবার সিকিউরিটিতে দক্ষ ও যোগ্য হবে। ভবিষ্যতে আমাদের কোনোকিছুই প্রযুক্তির বাইরে থাকতে পারবে না।
তিনি বলেন, আমরা যদি ইউনিভার্সিটি-ইন্ডাস্ট্রির কোলাবোরেশন না করতে পারি, শিক্ষার্থীদের মাঝে যদি ব্যবসায় উদ্যোক্তার মানসিকতা তৈরি না করতে পারি তাহলে ইনোভেটিভ-স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া কষ্টসাধ্য হবে। বুয়েটে ইনস্টিটিউট অব রোবটিক্স অ্যান্ড অটোমেশন স্থাপনের কাজ শুরু করেছি, আমাদের কাজ এখানেই শেষ নয়, এর পরের ধাপগুলোতে আমরা আরও ভবিষ্যতমূখী প্রযুক্তিতে বুয়েটের শিক্ষার্থীদের দক্ষ ও যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলার নির্দেশনা পেয়েছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে।
অনুষ্ঠানে বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার এর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মোঃ সামসুল আরেফিন ও বুয়েটের উপ-উপচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খাঁন।