Headline :
মোল্লারহাট উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ককে দল থেকে অব্যাহতি যমুনা ব্যাংকের অনিয়ম তদন্তে দুদকঃ এমডির সহযোগিতায় সাবেক মন্ত্রী পূত্রদের ৭০ কোটি টাকা লূটপাট বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি খাত: দূতাবাস নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে হাসান কিরণের ১০ দফা সুপারিশ ছাত্র আন্দোলনে নিহত দিনমজুর পরিবারের পাশে তারেক রহমান ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ ‘শিক্ষার্থীদের গিনিপিগ বানিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা নষ্ট করা হয়েছে মেহেরুন মনসুরের বিলাসবহুল জীবনযাপনের অর্থের মূল উৎস কোথায় ? আটদিনের সফর গড়াচ্ছে আট মাসে, আটকেপড়া নভোচারীরা ফিরবেন যেভাবে চুক্তি বাতিলের পর থেকে লাপাত্তা মিথিলা-অর্পণা

কোটা পদ্ধতির প্রশ্নে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও সরকারের প্রতিক্রিয়া

Reporter Name / ৮৩ Time View
Update Time : শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৪ অপরাহ্ন

বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির আহ্বায়ক এম. এ. আলীম সরকার এক বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশে কোটা পদ্ধতি নিয়ে ছাত্রদের আন্দোলন বেশ কয়েক বছর ধরে  চলছিল। ছাত্রদের ঐ আন্দোলনে ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্র ফ্রন্ট নেতৃত্ব অল্পই দিয়েছে। সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে থেকে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ কোটা পদ্ধতি পরিবর্তনের দাবিতে এই আন্দোলনে ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্র ফ্রন্ট সমর্থন  দিয়েছে। কখনো কখনো নেতৃত্ব দিয়েছে। সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে থেকে গড়ে উঠে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। চাকরির ক্ষেত্রে শতকরা ৩০ ভাগ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান- সন্ততিদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়। এই বিধান পরিবর্তনের জন্য কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্রমাগত আন্দোলন চালায়। কয়েক বছর আন্দোলনের পরে সরকার আন্দোলনকারীদের মতামত জেনে বিধি-বিধানে কিছু পরিবর্তন ঘটিয়ে সরকার আন্দোলন থামায়। এখন দেখা যাচ্ছে  একই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত দেয় যে,  মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান- সন্ততিদের চাকরির সুবিধা আইন সম্মত হয়নি বলে রায় দিয়েছে। এর ফলে পুনরায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে যাচ্ছে।  মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান- সন্ততিরা পুরুষানুক্রমে অনন্তকাল বহাল থাকবে এটা কি ন্যায়সঙ্গত? আমরা মনে করি এই বিধি দীর্ঘকাল বহাল রাখা ন্যায়সঙ্গত নয়। আমাদের দেশে হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট কোনো মামলা বিচারের সময়ে কেবল লিখিত আইন ও বিধি-বিধান দেখে মামলার রায় দিয়ে থাকেন।

আইন যে সব সময় ন্যায়সঙ্গত হয় তা নয়। আমরা মনে করি আন্দোলনকারী ছাত্রদের আন্দোলন ন্যায়সঙ্গত। সমস্যাটি নিয়ে জাতীয় সংসদে পর্যাপ্ত আলোচনা- সমালোচনা পর সংসদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। শুধু এই সমস্যার বেলায়ই নয় গত ১৫ বছর মধ্যে আরো কয়েকটি মামলা রায় আরো রাজনৈতিক বিবেচনার বিষয়ের উপর হাইকোর্ট রায় দিয়েছে। যেগুলো মানবাধিকার ও ন্যায় অন্যায়ের বিবেচনা ছিল না, ছিল শুধু লিখিত বিধি-বিধানের অনুসারী। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের নির্বাচনকে নির্বাচন হিসেবে মেনে নেয় না। ফলে জাতীয় সংসদও নৈতিক দিক দিয়ে দুর্বল অবস্থায় আছে। আমরা উন্নত চরিত্রের জাতীয় সংসদ চাই। যারা সুষ্ঠু  নির্বাচনের দাবি করে তাদের দলীয় রাজনৈতিক চরিত্রও উন্নত নয়। আমরা আমাদের জাতীয় রাজনীতির উন্নতি কামনা করি। রাতারাতি সবকিছুকে সুষ্ঠু ধারায় আনা যাবে তা নয়, ধীর গতিতে অগ্রসর হলেও সুষ্ঠুতার দিকে এগোতে হবে। দেশের শিল্পী, সাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদদের এর ব্যাপারে সক্রিয়তা ও সুষ্ঠু ধারার অগ্রগতি কামনা করি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *