Headline :
মোল্লারহাট উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ককে দল থেকে অব্যাহতি যমুনা ব্যাংকের অনিয়ম তদন্তে দুদকঃ এমডির সহযোগিতায় সাবেক মন্ত্রী পূত্রদের ৭০ কোটি টাকা লূটপাট বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি খাত: দূতাবাস নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে হাসান কিরণের ১০ দফা সুপারিশ ছাত্র আন্দোলনে নিহত দিনমজুর পরিবারের পাশে তারেক রহমান ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ ‘শিক্ষার্থীদের গিনিপিগ বানিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা নষ্ট করা হয়েছে মেহেরুন মনসুরের বিলাসবহুল জীবনযাপনের অর্থের মূল উৎস কোথায় ? আটদিনের সফর গড়াচ্ছে আট মাসে, আটকেপড়া নভোচারীরা ফিরবেন যেভাবে চুক্তি বাতিলের পর থেকে লাপাত্তা মিথিলা-অর্পণা

ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট কে এই মোহাম্মদ মোখবের

Reporter Name / ১০৮ Time View
Update Time : শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৮ অপরাহ্ন

ইরানের নতুন অন্তবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবেরের নাম ঘোষণা করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। সেই সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির নিহতের ঘটনায় ৫ দিনের রাষ্ট্রীয় শোকও জারি করেছেন তিনি।

ইরানের সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতি বা অবর্তমানে দেশটির অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে আসেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। রোববার (১৯ মে) হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নিহত হওয়ার পর সংবিধান অনুযায়ী তাই দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন রাইসির নেতৃত্বাধীন সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবের।

সাংবিধানিক বিধি অনুসারে এখন ইরানে এখন তিন সদস্যের একটি কাউন্সিল গঠন করা হবে; সেই কাউন্সিলের প্রধান হবেন মোহাম্মদ মোখবের। কাউন্সিলের অন্য দুই সদস্য হলেন ইরানের পার্লামেন্টের স্পিকার এবং বিচার বিভাগের প্রধান। এই তিন সদস্যবিশিষ্ট পরিষদের প্রধান দায়িত্ব থাকবে আগামী ৫০ দিনের মধ্যে দেশে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আয়োজন করা।৬৮ বছর বয়সী মোহাম্মদ মোখবেরের জন্ম ১৯৫৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর। রাইসির মতো তিনিও দেশটির শীর্ষ আধ্যাত্মিক নেতা আলী হোসাইন খামেনির ঘনিষ্ঠ এবং আস্থাভাজন। ২০২১ সালে তিনি প্রথমবার ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন; ওই নির্বাচনে জিতে রাইসি প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন।

গত অক্টোবরে মোহাম্মদ মোখবেরের নেতৃত্বে মস্কো সফরে গিয়েছিল ইরানের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল। সেই সফরে রাশিয়ার কাছে ইরানের বিখ্যাত সারফেস টু সারফেস ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন বিক্রির জন্য চুক্তি হয়েছিল মস্কো ও তেহরানের মধ্যে।

২০২১ সালের নির্বাচনে দাঁড়ানোর আগে শীর্ষ আধ্যাত্মিক নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সঙ্গে সম্পর্কিত একটি বিনিয়োগ ফান্ড ‘সেতাদ’র শীর্ষ নির্বাহী ছিলেন মোখবের।  

ইরানের পারমাণবিক ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ২০১০ সালে মোখবেরের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ইউরোপীয় দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। দুই বছর পরে অবশ্য ইইউ সেই নিষেধজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়।

২০১৩ সালে ইরানের ৩৭টি কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র। এসব কোম্পানির মধ্যে ‘সেতাদ’ও রয়েছে।

১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের মাধ্যমে ইরানের বর্তমান শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা দখলের পরবর্তী কয়েক বছর বিপুল সংখ্যক মানুষ নিজেদের জমি-জমা-বাড়ি-ঘর ফেলে রেখে বিদেশে আশ্রয় নেন। তাদের সেসব সম্পত্তি দেখভাল করা, বিক্রি করা এবং বিভিন্ন দেশ ও সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে সহায়তা দেওয়ার কাজটি করে সেতাদ।

সূত্র : রয়টার্স


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *