বে গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান শিল্পপতি শামসুর রহমান আর নেই।
সোমবার স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
আজ বাদ জোহর ঢাকার হাজারীবাগে লেদার কলেজ মাঠে তার প্রথম জানাজা, বাদ মাগরিব গুলশানের আজাদ মসজিদে দ্বিতীয়, বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বাদ জোহর শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাটে সরকারি শামসুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে তৃতীয় ও হাটুরিয়া মিঞা বাড়ি বাদ আসর চতুর্থ জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
শামসুর রহমান দেশের একজন প্রথিতযশা শিল্পপতি ছিলেন। চামড়া খাতে ৪০ বছরের বেশি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এ পথিকৃৎ ১৯৪২ সালের ১ এপ্রিল শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা খলিলুর রহমান ও মা সফুরা বেগম এলাকায় সমাজসেবী ও অত্যন্ত দানশীল ব্যক্তিত্ব ছিলেন।
শামসুর রহমান বে গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। অত্যন্ত প্রতিভাবান ও পরিশ্রমী এ ব্যক্তিত্ব ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন। ক্যারিয়ারের প্রথমভাগে তিনি স্বেচ্ছায় অবসরে গিয়ে ১৯৭৭ সালে বে ট্যানারিজ লিমিটেড প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তার কর্মজীবনের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু করেন, যা বর্তমানে বে গ্রুপ হিসেবে মহীরুহে বিকশিত হয়েছে।
তিনি বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সংস্থার সহ-সভাপতি এবং বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস ও ফুটওয়ার এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ পাদুকা খাতে ১৬ বার জাতীয় রপ্তানি ট্রফি লাভ করেন।
তিনি একজন দানবীর ছিলেন। দেশের দরিদ্র জনসাধারণের শিক্ষা ও আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নের ক্ষেত্রে তার অপরিসীম অবদান অনস্বীকার্য। পল্লীগ্রাম এবং অনগ্রসর এলাকায় তিনি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, এতিমখানা, হাসপাতাল ও অনেক দাতব্য প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছেন। শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলায় অবস্থিত সরকারি শামসুর রহমান কলেজের তিনি প্রতিষ্ঠাতা।
এছাড়া তিনি সেখানে তার মায়ের নামে সফুরা বেগম মহিলা কলেজ, সামন্তসার উচ্চবিদ্যালয়, বাবা-মার নামে খলিলুর রহমান ফাজিল মাদরাসা, সফুরা বেগম শিশু সদন এবং ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাবর রোডে গাউছিয়া ফাজিল মাদরাসা স্থাপন করেন।