ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) এবার একের পর এক রেকর্ডে নিজেদেরই ছাড়িয়ে যাচ্ছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। সেখানে অন্য দলগুলোকে ছাড়ানো যেন কোনো ব্যাপারই নয়! আইপিএলও চার–ছক্কার ঝড় তোলায় গতকাল (বুধবার) নিজেদেরই ছাড়িয়ে গেল। টুর্নামেন্টটির চলতি মৌসুম সবচেয়ে দ্রুততম এক হাজার ছক্কার রেকর্ড গড়েছে।
এদিন ৫৭তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল লখনৌ সুপার জায়ান্টস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। যে মাঠে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে টেনেটুনে ১৬৫ রানেই লখনৌকে থামতে হয়েছে। সেখানে ১৬৬ রানের টার্গেট স্রেফ ৫৮ বলেই (৯.৪ ওভার) পেরিয়ে গেছে হায়দরাবাদ। উইকেটের পতন হয়নি একটিও। ট্রাভিস হেড অপরাজিত ছিলেন ৩০ বলে ৮৯ রানে। ৮টি ছক্কা ও সমান সংখ্যক চার হাঁকিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া আরেক ওপেনার অভিষেক শর্মা ৮ চার ও ৬ ছক্কার মারে ২৮ বলে ৭৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।
আর এর মধ্য দিয়ে হায়দরাবাদ চলতি মৌসুমে ১৪৬টি ছয় হাঁকিয়ে ফেলল। যা এক আসরে যেকোনো দলের সর্বোচ্চ ছয়ের রেকর্ড। গ্রুপপর্বে তাদের এখনও দুই ম্যাচ বাকি। এরপর তাদের প্লে-অফে খেলাও প্রায় নিশ্চিত। ফাইনাল পর্যন্ত খেললে হায়দরাবাদ এই রেকর্ড কোথায় নিয়ে যায় সেটাই ভাবনার বিষয়। এর আগে আইপিএলের এক আসরে সর্বোচ্চ ১৪৫টি ছয় মারার রেকর্ড গড়ে চেন্নাই সুপার কিংস। ২০১৮ সালে তৃতীয় আইপিএল শিরোপা জয়ের আসরে তারা ওই রেকর্ড গড়ে।
এ ছাড়া এক আসরে সর্বোচ্চ ছয়ের রেকর্ডের তালিকায় রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স (২০১৯ সালে ১৪৩টি), রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (২০১৬ সালে ১৪২টি) ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স (২০২৩ সালে ১৪০টি)।
অন্যদিকে, চলতি আইপিএলে ১০০০ ছয়ের রেকর্ডও হয়েছে গতকালের ম্যাচে। এক আসরে একই সংখ্যক বড় বাউন্ডারির নজির এর আগের ১৬ বছরে মাত্র দু’বার ঘটেছিল। ম্যাচের অষ্টম ওভারে জয়দেব উনাদকাটের বলে পরপর দুটি ছক্কা মারেন ক্রুনাল পান্ডিয়া। দ্বিতীয় ছক্কাটি এবারের আইপিএলের ১০০০তম ছক্কা। ১৩,০৭৯ বলে ১০০০ ছক্কা হয়েছে এবার। আইপিএলের ইতিহাসে কখনো এত কম বলে ১০০০ ছক্কা হয়নি।
এর আগে ২০২৩ সালে ১১২৪টি ছক্কা হয়েছিল। তার মধ্যে ১০০০টি ছক্কা মারতে লেগেছিল ১৫,৩৯০ বল। এতদিন সেটাই ছিল দ্রুততম এক হাজার ছয়ের রেকর্ড। তার আগের বছর অর্থাৎ, ২০২২ সালে ১০৬২টি ছক্কা মেরেছিলেন ব্যাটাররা। ১৬,২৬৯ বল লেগেছিল ১০০০টি ছক্কা মারতে। এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট, যত সময় গড়াচ্ছে তত ছক্কার সংখ্যা বাড়ছে। চলতি বছর ধরলে শেষ তিন বারই ১০০০-এর বেশি ছক্কা হয়েছে প্রতিযোগিতায়। ২০২২ সালে যত বল লেগেছিল, পরের বছর তা কমেছিল। চলতি বছর তা আরও কমল। এবার দেখার বিষয় চলতি আসর শেষে সেই সংখ্যাটা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়!