সকালের বৃষ্টিতে মাঠ খেলার অনুপযোগী হয়ে ওঠে। তাতে প্রথম দিনের খেলা নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। অবশেষে বিলম্বে টস হয়, খেলা শুরুর সময়েও পরিবর্তন আসেন। ভেজা উইকেটের বাড়তি সুবিধা দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছেন বাংলাদেশি পেসাররা। নতুন বলে পাকিস্তানি ব্যাটারদের চেপে ধরেন শরিফুল ইসলাম-হাসান মাহমুদ। তাদের গতি আর সুইংয়ে তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায় পাক টপ অর্ডার। পরবর্তীতে সেই বিপর্যয় সামাল দিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তান।
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে প্রথম দিন শেষে ৪১ ওভারে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান। ৫৭ রান নিয়ে উইকেটে আছেন সৌউদ শাকিল ও অপর অপরাজিত ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ানের সংগ্রহ ২৪ রান।
নতুন বলে দারুণ সুইং পেয়েছেন শরিফুল ইসলাম। হাসান মাহমুদও লাইন-লেংথ বজায় রেখে পাকিস্তানি ব্যাটারদের শুরুতেই চেপে ধরেন। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে প্রথম ব্রেকথ্রু পেতে খুব একটা অপেক্ষা করতে হয়নি বাংলাদেশকে।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে করেছিলেন হাসান মাহমুদ। স্লটে পেয়ে জায়গায় দাঁড়িয়ে ব্যাট চালান আবদুল্লাহ শফিক, ঠিকমতো টাইমিং না হওয়ায় বল চলে যায় গালিতে, সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা জাকির হাসান শুন্যে ভেসে বল তালুবন্দি করেন। ১৪ বল খেলে ২ রান করে শফিক বিদায় নেওয়ায় ৩ রানে ভাঙে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি।
৭ম ওভারে শান মাসুদকে ফেরান শরিফুল। এই বাঁহাতি পেসারের ব্যাক অব লেংথে করা বল মিড অফের দিকে খেলতে চেয়েছিলেন মাসুদ, ব্যাটের কানায় লেগে বল জমা পড়ে উইকেটকিপারের গ্লাভসে। কিন্তু জোরালো আবেদনেও সাড়া দেননি আম্পয়ায়ার, রিভিউ নেন শান্ত। তাতে দেখা যায়, ব্যাটের কানা ছুঁয়ে গ্লাভসে জমা পড়েছে বল, ফলে সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হন আম্পায়ার। ১১ বলে ৬ রান করে ফেরেন মাসুদ।
দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর উইকেটে আসেন বাবর আজম। অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের কাঁধে দায়িত্ব ছিল দলকে টেনে তোলার। কিন্তু পারলেন না। ইনিংসের নবম ওভারের দ্বিতীয় বলটি লেগ স্টাম্পের বাইরে করেছিলেন শরিফুল। খাটো লেংথের সেই বলে আউট সাইড এজে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন বাবর। ডাক খেয়ে ফিরেছেন সাবেক এই অধিনায়ক।
১৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছিল পাকিস্তান। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন সৌউদ শাকিল ও সায়িম আইয়ুব। দুই তরুণ ব্যাটার চতুর্থ উইকেট জুটিতে দলকে ম্যাচে ফেরান। সায়িম তুলে নেন ব্যক্তিগত ফিফটি। তবে মাইলফলক ছুঁয়ে আর বেশি দূর এগোতে পারেননি। ৫৬ রান করা এই ওপেনারকে ফিরিয়ে ৯৮ রানের জুটি ভাঙেন হাসান।
এরপর দিনের বাকিটা সময় মোহাম্মদ রিজওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে নিরাপদে কাটিয়েছেন শাকিল। বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট পেয়েছেন হাসান ও শরিফুল।