ইন্দোনেশিয়ায় সাঁতার কাটার সময় এক নারীকে টেনে নিয়ে গিলে খেয়েছে কুমির। এরপর কুমিরটিকে ধরে পেট কেটে বের করা হয় ওই নারীর ছিন্নভিন্ন মরদেহ।
ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে কুমিরের বসবাস রয়েছে। ফলে দেশটিতে প্রায়ই সাধারণ মানুষ কুমিরের আক্রমণের মুখে পড়ে প্রাণ হারান।
হালিমা রাহাকবাউ নামের ৫৪ বছর বয়সী এ নারী মালাকু দ্বীপের ওয়ালি গ্রামের নদীতে সাঁতার কেটে ঝিনুকের খোঁজ করছিলেন। তখনই কুমির তার উপর হামলা চালায়।
ওই নারী যখন বাড়ি ফিরে আসছিলেন না তখন তার পরিবার ও প্রতিবেশীরা তাকে খোঁজা শুরু করেন।
এরপর তারা নদীর পাড়ে একটি স্যান্ডেল ও দেহের খণ্ডিত অংশ দেখতে পান। তখন পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে কুমিরটিকে হত্যা করে।
স্থানীয় পুলিশের এক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, “নারীর খন্ডবিখন্ড মরদেহ উদ্ধারের জন্য গ্রামবাসীকে কুমিরটির পেট কাটতে হয় ।”
কুমিরটি বেশ বড় এবং লম্বায় ১২ ফুট ছিল বলে জানিয়েছেন নিহত ওই নারীর এক প্রতিবেশী।
এরআগে গত রোববার সুমাত্রায় ৬৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তি কুমিরের হামলায় নিহত হন।
২০১৮ সালে পাপুয়া রাজ্যে এক ব্যক্তিকে হত্যা করে কুমির। এরপর সাধারণ মানুষ সংঘবদ্ধ হয়ে ৩০০ কুমিরকে পিটিয়ে হত্যা করেন।