কোটা বিরোধী আন্দোলনের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। একই সঙ্গে আদালতের দোহাই না দিয়ে এ সংকট নিরসনে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে বলে মনে করছে দলটি।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত এক সভায় দলের মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ এ আহ্বান জানান।
ইউনুছ আহমাদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা। ৫৬ শতাংশ কোটা পদ্ধতি চাকরি সম্পর্কিত বৈষম্য সৃষ্টি করছে যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশব্যাপী শিক্ষার্থী এ বৈষম্য দূরীকরণের জন্য কোটা আন্দোলন করে যাচ্ছে। আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালে যে কোটা সংস্কার হয়েছিল সেটা বাতিল করে সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে, কার স্বার্থে? বাঙলা ব্লকেড কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের স্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রমাণ করে সারাদেশের ছাত্রসমাজ অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ। আদালতের দোহাই না দিয়ে সংকট নিরসনে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে।
সম্প্রতি পিএসসির ব্যবস্থাপনায় রেলওয়েরর উপ-পরিচালক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, খবরে প্রকাশ প্রায় ৩০টি বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস করা হয়েছে। এর দ্বারা প্রমাণিত হলো সরকারের সকল সেক্টরে এ টু জেড দুর্নীতিতে নিমজ্জিত।
তিনি বলেন, সরকারি চাকরির সবচেয়ে বৃহৎ প্রতিষ্ঠান বিসিএস পরীক্ষার কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি, প্রশ্নফাঁস, ৫৬ শতাংশ কোটা পদ্ধতির চেয়েও মারাত্মক দুশ্চিন্তার কারণ।
তিনি আরও বলেন, এ সরকার চাকরির সব সেক্টরে বিনা প্রতিযোগিতায় দলীয় লোকদের নিয়োগের স্বপ্নে বিভোর।
সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য খন্দকার গোলাম মাওলা, যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, শেখ ফজলে বারী মাসউদ, কেএম আতিকুর রহমান, আহমদ আবদুল কাইয়ূম প্রমুখ।