এবার ভারতের সঙ্গে কোনো চুক্তি হয়নি উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘মির্জা ফখরুল, সমঝোতা স্মারক আর চুক্তি কি এক? পড়াশোনা করেন না? ডিপ্লোমেসির ভাষা জানেন না? জেনে নেন— সমঝোতা স্মারক আর চুক্তি এক কথা নয়।
তিনি বলেন, আমরা মালয়েশিয়ার সঙ্গে পদ্মা সেতুর জন্য সমঝোতা স্মারক করেছি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে পদ্মা সেতু নিজের টাকায় করেছি। আমরা যদি চুক্তি করতাম তাহলে বাধ্য হতাম পদ্মা সেতু নির্মাণের দায়িত্ব তাদের দিতে।
সোমবার (১ জুলাই) বিকালে তেজগাঁও জেলা আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫ তম (প্লাটিনাম জয়ন্তী) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ঘুম হারাম হয়ে গেছে। মির্জা ফখরুলের মনে অশান্তির আগুন। গতকাল রাতে লন্ডন থেকে ফরমান এসেছে। অমুক আউট, অমুক ইন। এখন ইন-আউট চলছে বিএনপি। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলনে এখন অবিশ্বাস। বিএনপিতে একজন আরেকজনকে বলে সরকারের এজেন্ট। আন্দোলন তাহলে কারা করবে? বিএনপির কর্মসূচি ভুয়া।
তিনি বলেন, সব নাকি ইন্ডিয়া হয়ে গেছে। গেল রে গেল স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব গেল! ৫৩ বছর স্বাধীনতা নিয়ে আমরা টিকে আছি। কোথায় যাবো? ভারত আমাদের বন্ধু আর তোমরা ভারতের দাসত্ব চেয়েছিলে। নরেন্দ্র মোদি যখন ক্ষমতায় আসে তখন বিএনপির নেতারা সকালে মিষ্টি আর ফুল নিয়ে হাজির। এই হচ্ছে বিএনপি। তারা এখন ভারত বিরোধিতা করে। তারা ওয়াশিংটনে ভারতের কাছে গ্যাস বিক্রি করার অঙ্গীকার দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল ২০০১ সালে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ফখরুল সাহেব বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবেন না। সাড়ে তিন হাজার পিস জামদানি শাড়ি নিয়ে নতুন দিল্লিতে কারা গিয়েছিল? নয় দিল্লিতে লাল গালিচার সংবর্ধনা নিয়ে ঢাকা বিমানবন্দরে ফিরে এলেন। বিমানবন্দরে সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করল, গঙ্গা চুক্তি কি হলো? খালেদা জিয়া বলল, আমিতো গঙ্গা চুক্তির কথা বলতে ভুলেই গেছি। আপনারা সবকিছুই ভুলে যান। এই গঙ্গা চুক্তি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা করেছে। বন্ধুত্ব থাকলে অবিশ্বাস থাকে না। বন্ধুত্ব থাকলে সন্দেহ থাকে না। বন্ধুত্ব আছে বলেই আমরা তিস্তা সহ অভিন্ন নদীর পানি নিয়ে আলোচনা অনেকদূর অগ্রগতি সাধন করেছি। বন্ধুত্ব আছে বলেই সমুদ্রসীমায় আমরা আরেকটা বাংলাদেশ পেয়েছি। বন্ধুত্ব আছে বলেই আমরা ৬৮ বছরের সীমান্ত সমস্যা সমাধানের বাস্তবায়নে চুক্তি করতে পেরেছি।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম আতিক, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান প্রমুখ। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি।