বর্তমানে বিশ্ব যে নজিরবিহীন চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সেটি থেকে উত্তরণে অব্যাহত সংলাপ এবং অংশীদারিত্বের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে বাংলাদেশ।
স্থানীয় সময় সোমবার (২৪ জুন) তেহরানে এশিয়া সহযোগিতা সংলাপের (এসিডি) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ১৯মত বৈঠকে দেওয়া বক্তব্যে এ অভিমত ব্যক্ত করেন সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
এবারের এশিয়া সহযোগিতা সংলাপে পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের বৈঠকে ‘তেহরান ঘোষণা’, ‘কার্যকরী এসিডির জন্য পথপ্রদর্শক নীতি’, ‘এসিডির কার্যপ্রণালীর নিয়ম’সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি গৃহীত হয়। বৈঠকে নেতারা ২০২৪-২৭ সময়ের জন্য সংগঠনের পরবর্তী মহাসচিব হিসেবে কুয়েতের প্রার্থীকে নির্বাচিত করেন। এছাড়া আগামী অক্টোবরে দোহায় এশিয়া সহযোগিতা সংলাপের শীর্ষ সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত হয়।
শাহরিয়ার আলম তার বক্তব্যে গাজায় নারী ও শিশুসহ নিরীহ বেসামরিক মানুষের ওপর ইসরাইলি দখলদারিত্বের নৃশংসতার তীব্র নিন্দা জানান এবং ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বরতা অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানান। তিনি পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি সার্বভৌম, স্বাধীন ও কার্যকর ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
সাবেক প্রতিমন্ত্রী এসিডি দেশগুলোকে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার অনেক ক্ষেত্রে যেমন- বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার মাধ্যমে বিপুল সম্ভাবনা থেকে উপকৃত হওয়ার সুযোগের কথা তুলেন। তিনি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের সুবিধার্থে বিভিন্ন ফোরামে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় যুক্ত হওয়ার জন্য এসিডির নেতাদের সমর্থন চান।
সংলাপে বাংলাদেশের তিন সদস্যের প্রতিনিধিদলে ছিলেন অতিরিক্ত পররাষ্ট্রসচিব (দ্বিপাক্ষিক-পূর্ব ও পশ্চিম) ড. মো. নজরুল ইসলাম।