২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কোরবানির বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই বর্জ্য অপসারণ সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
সোমবার (১৭ জুন) দুপুরে করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের শীতলক্ষ্যা হলে স্থাপিত কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে অনলাইন প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপনে উৎপন্ন/সৃষ্ট বর্জ্যের আনুষ্ঠানিক অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শেখ তাপস বলেন, আমাদের এবারের প্রস্তুতি আগেরবারের চাইতে আরও ভালো। আমাদের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে আমরা অনেক যান-যন্ত্রপাতি আমাদের বহরে সংযোজন করেছি। আমাদের পূর্বের যে অভিজ্ঞতা, তার আলোকে আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইতোমধ্যে অনেক দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবলে রূপান্তরিত হয়েছে। আপনারা লক্ষ্য করেছেন, আমাদের কাউন্সিলর, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুপুর ২টার জন্য অপেক্ষা না করে তার আগেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন। আমরা এবার আত্মবিশ্বাসী যে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে যে লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছি, তার অনেক আগেই আমরা ঢাকা শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে পারব।
ঢাকাবাসীর প্রত্যাশা অনুযায়ী গতবারের ন্যায় এবারও বর্জ্য অপসারণে সফল হওয়ার আশাবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকাবাসীর যে প্রত্যাশা এবং আমাদের যে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা, সেটি হলো ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যাতে বর্জ্য অপসারণ হয়, শহর পরিষ্কার হয়। গতবারও আমরা তা অত্যন্ত সুচারুভাবে এবং সফলতার সাথে সম্পন্ন করেছি। ঢাকাবাসী সেটি অবলোকন করেছে ও সবার কাছে সমাদৃত হয়েছে। এবারও সবার সহযোগিতায় আমরা সফল হবো ইনশাআল্লাহ।
এ সময় তিনি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কাউন্সিলরদের সঙ্গে কোরবানির পশুর বর্জ্য ও হাটের বর্জ্য অপসারণের বিষয়ে কথা বলেন এবং বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।
এছাড়া, মেয়র বৃষ্টি হলে যাতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না হয় এবং সংশ্লিষ্ট সবাই যেন এ ব্যাপারে সজাগ থাকে সেই লক্ষ্যে নানাবিধ দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।