রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে না পারা ভারত-পাকিস্তানকে বৈশ্বিক আসরগুলোতে বারবারই একই গ্রুপে পড়তে দেখা যায়। মূলত ক্রিকেটভক্তদের মাঝে রোমাঞ্চ ছড়ানোর পাশাপাশি বাণিজ্যিক লাভের হিসাবও থাকে এর পেছনে। চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও একই গ্রুপে ছিল পাক-ভারত, যেখানে ইতোমধ্যে বিদায় হয়ে গেছে বাবর আজমদের। এরপর দুই দলকে একই গ্রুপে রাখা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান বীরেন্দর শেবাগ।
ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ মানেই হাইভোল্টেজ লড়াই ও টানটান উত্তেজনা। ক্রিকেট বিশ্বে গোটা উপমহাদেশের বড় আকর্ষণও ভারত-পাকিস্তান ম্যাচকে ঘিরে। এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দলের কোনো একটি না থাকলে টুর্নামেন্টের উত্তেজনাই কমে যায়। এ কথা পুরো ক্রিকেট দুনিয়া জানে। এর পেছনে নিয়ামকের ভূমিকা রাখা আইসিসির কাছেও ব্যাপারটা অজানা নয়। সবচেয়ে বড় কথা, এর পেছনে স্পন্সরশিপেরও ব্যাপার আছে।
সেসব মাথায় রেখেই আইসিসি বারবার ভারত ও পাকিস্তানকে এক গ্রুপে রেখেছে। ২০২১ এবং ২০২২ সালেও একই নজির দেখা গিয়েছিল। ওই সময় ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ বিপুল জনপ্রিয়তার কেন্দ্রে ছিল। এবারের ম্যাচ নিয়েও দারুণ রোমাঞ্চ ছিল সংশ্লিষ্ট সবার মাঝে। সাবেক ভারতীয় তারকা শেবাগ মনে করছেন– ভারত বা পাকিস্তান যদি পরবর্তী রাউন্ডে না ওঠে, সেটা ভেবেই আইসিসি ভারত-পাকিস্তানকে এক গ্রুপে রেখেছে। যাতে দুই দল অন্তত গ্রুপের খেলায় একবার মুখোমুখি হয়।
এই প্রসঙ্গে ২০০৭ বিশ্বকাপের উদাহরণও টেনেছেন শেবাগ, ‘২০০৭ সালে আমরা (ভারত) এবং পাকিস্তান কেউই দ্বিতীয় রাউন্ডের যোগ্যতা অর্জন করতে পারিনি। যদিও তখন আলাদা গ্রুপে ছিলাম।’ দ্বিতীয় রাউন্ডে দুই দল যেতে না পারায়, ওই টুর্নামেন্টে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হয়নি। এতে টুর্নামেন্টের উত্তেজনাও হ্রাস পায়। সেটি স্মরণ করিয়ে দিয়ে আইসিসিকে কটাক্ষ শেবাগের, ‘এবার আইসিসি দুই দলকে আলাদা গ্রুপে রাখবে। আর সেই গ্রুপে তেমন কোনো দলকে রাখবে না, যারা ভারত বা পাকিস্তানকে হারাতে পারে।’
এবারের টি-২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তান যদি গ্রুপের রানার্সআপও হত, এরপর সুপার এইট পেরিয়ে আবারও ভারতের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু সেটা হয়নি। পাকিস্তান গ্রুপে ভারতের কাছে তো হেরেছেই, এমনকি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবার খেলতে আসা আমেরিকার কাছেও পরাজিত হয়েছে। যদিও পরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার কারণ হিসেবে পাকিস্তান বৃষ্টিকে দায় দিচ্ছে। এ নিয়ে পাকিস্তান দলকেও কটাক্ষ করেছেন শেবাগ। তিনি বলছেন, ‘প্রয়োজনীয় রান তুলতে না পেরে পাকিস্তান হেরে গেছে। অযথা বৃষ্টির দোহাই দিয়ে লাভ কি?’