পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ তার কালো টাকা সাদা করার সুযোগ পাবেন না বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, অপ্রদর্শিত অর্থ মামলায় পড়ে গেছেন বেনজীর। এখন ফৌজদারি মামলা চলছে। এটা (বেনজীরের কালো টাকা) কীভাবে সাদা হবে?শুক্রবার বিকেলে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন এনবিআর চেয়ারম্যান।
বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগের বিষয়টিকে কতটুকু নৈতিক বলে মনে করেন প্রশ্নে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমরা এ সুযোগটা দিয়ে থাকি। নানা কারণে অপ্রদর্শিত কিছু অর্থ থাকতে পারে। অসচেতনতা বা নানা কারণে রিটার্নে দেখানো হয়নি বা রিটার্ন দেওয়ার সময় এ তথ্যগুলো কোনো কারণে বাদ পড়ে গেছে। এছাড়া আরো কিছু কারণ রয়েছে-যেমন জমি কেনা-বেচার ক্ষেত্রে কিছু টাকা আমাদের অপ্রদর্শিত থেকে যায়। এজন্য সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে দাবি এসেছিল সুযোগ দেওয়ার।
তিনি বলেন, অনেক সময় ব্যবসায়ীরাও কিছু অপ্রদর্শিত অর্থ দেখাতে চান। আবার ব্যক্তি পর্যায়েও দেখাতে চান, নতুন কর দাতারা দেখাতে চান। কিন্তু এই অপ্রদর্শিত অর্থের জবাব তারা দিতে পারছেন না। সেজন্য আমরা ১৫ শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে সেটা বৈধ করার সুযোগ করে দিয়েছি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেন, সাবেক কর্মকর্তা নিয়ে আপনারা প্রশ্ন করেছেন, উনার বিচার হবে না এটা কেউ বলেননি। দুদক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। তার বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ না করে তাকে জেলে বা ফাঁসি দেব বিষয়টি এমন নয়। কারণ উনি তো এ দেশের মানুষ। বেনজীর বিদেশে আছেন, দুদকের কাছে সময় চেয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, পরিকল্পনা মন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম,শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিব মে. মাহবুব হোসেন, অর্থসচিব খালেকুজ্জামান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।