মায়ের রক্তাক্ত নিথর দেহ, পাশেই অচেতন দুই বছরের শিশু। উপুড় হয়ে পড়ে আছে শিশুটির মা। মাথা ক্ষতবিক্ষত। শিশুটির মাথাতেও রয়েছে আঘাত। গতকাল বুধবার (২৯ মে) ভোরে রাস্তার পাশে অচেতন শিশু ও নারীর মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলায়। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) রাত ১০টা পর্যন্ত ওই নারীর পরিচয় মেলেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশুর জ্ঞান ফেরেনি। তবে শিশুটি শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
জানা গেছে, বুধবার সকালে পূর্বধলা উপজেলার বিষকাকুনী ইউনিয়নের কাছিয়াকান্দা গ্রামে আনুমানিক দুই বছরের জীবিত শিশুসহ অজ্ঞাত পরিচয় এক নারীর (৩০) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ভোরে ওই উপজেলার কাছিয়াকান্দা গ্রামের এক ব্যক্তি ফজরের নামাজ পড়ে মাদরাসার পাশে তার মায়ের কবর জিয়ারত করতে যান। এ সময় এক শিশু ও নারীকে কাঁচারাস্তার ওপর পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ খবর পেয়ে নারীর মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় শিশুটিকে জীবিত পেয়ে তাৎক্ষণিক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
পূর্বধলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম বলেন, শিশুটিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মরদেহ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুরতহালে নিহতের মাথার পেছন দিকে অন্তত পাঁচটি ধারালো অস্ত্রের আঘাত পাওয়া গেছে। যেখানে মরদেহ পাওয়া গেছে সেখানেই হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে শিশুটির মাথায় অন্য কিছুর আঘাত রয়েছে।
হাসপাতালে শিশুটির দেখাশোনা করছেন কাছিয়াকান্দা গ্রামের ইউপি সদস্য রুস্তম আলী ও নির্মাণ শ্রমিক সুজাত মিয়া। সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও সার্বক্ষণিক দেখভাল করছেন।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক জাকিউল ইসলাম জানান, শিশুটির মাথার সিটিস্ক্যান করানো হয়েছে। মস্তিস্কে রক্তক্ষরণের ঘটনা ঘটেনি। তার কোনো অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন নেই। তার চিকিৎসায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে।