যত বড় স্টার-ই হোক না কেন, ক্যারিয়ারে ‘ফ্লপ’ ছবি থাকবেই-থাকবে! তা সে অমিতাভ বচ্চন-ই হন, কিংবা অক্ষয় কুমার বা বলিউডের ‘বাদশা’ কিং খান। কিন্তু বলিউডের এমন একজন অভিনেতা আছেন, যার ১০টা নয় ২০টা নয়, ১৮০ টা ছবি ‘ফ্লপ’ করেছে বক্স-অফিসে। এখনও পর্যন্ত হিন্দি ছবির ইতিহাসে, তার-ই সবচেয়ে বেশি সংখ্যাক ছবি ফ্লপ করেছে। কে বলুন তো সেই অভিনেতা?
১০টা নয় ২০টা নয়, ৮০-র দশকের এই অভিনেতার ১৮০টা ছবি ফ্লপ করেছে। যদিও, তিনি কিন্তু ‘হেভিওয়েট স্টার’! ছবির ব্যর্থতা কোনোভাবেই তার স্টারডম টলাতে পারেনি। তিনি আসমুদ্র-হিমাচলের মনে রাজ করেছেন। তিনি ‘ডিস্কো ডান্সার’! হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন। তিনি মিঠুন চক্রবর্তী। বলিউডের ইতিহাসে মিঠুনের ছবি-ই সবথেকে বেশি মুখ থুবড়ে পড়েছে।
মিঠুন চক্রবর্তী সর্বাধিক সংখ্যক ফ্লপ ছবি দিয়েছেন। ১৮০টা ফ্লপ ছবি, এরধ্যে ৩৩টা ছবি পরপর ফ্লপ করেছে।
৮০-৯০-এর দশকে মিঠুনের ক্রেজ আকাশছোঁয়া। অনেকসময় তিনি বছরে এক ডজনেরও বেশি ছবি করেছেন। গোটা ক্যারিয়ারে তিনি ২৭০টা ছবি করেছেন, যার মধ্যে ১৮০টা একেবারেই ফ্লপ করেছে।
মিঠুন চক্রবর্তী ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৮ সালের মধ্যে ব্যাক টু ব্যাক ৩৩টি ফ্লপ ছবির রেকর্ড তৈরি করেছিলেন।
মিঠুন তার ক্যারিয়ারে ৫০টিও বেশি সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছেন। এর মধ্যে কিছু আইকনিক ছবি রয়েছে, যেমন—ডিস্কো ড্যান্সার, প্যায়ার ঝুকতা নেহি, অভিচার।
১৯৭৬ সালে ‘মৃগয়া’ ছবি দিয়ে বলিউডে পা রেখেছিলেন বাঙালি ছেলে মিঠুন চক্রবর্তী। ‘ডিস্কো ড্যান্সার’ ছবিটি তার ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এটিই প্রথম বলিউড ছবি যা বক্স অফিসে ১০০ কোটি টাকা আয় করেছিল।
মিঠুনের পরই তালিকায় নাম রয়েছে জীতেন্দ্রর। আগাগোড়া ক্যারিয়ারে জীতেন্দ্রর ১০১টা ছবি ফ্লপ করেছিল।