ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত ভাড়াটে খুনি আমানুল্লাহ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে পড়াশোনা করেছেন।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. এম শহীদ ইকবাল ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা কিনা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।
গণমাধ্যম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সূত্রমতে, এমপি আনোয়ারুল আজিম হত্যায় নেতৃত্ব দেওয়া আমানের পুরো নাম আমানুল্লাহ সাঈদ। তিনি পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির (লাল পতাকা) নেতা ছিলেন। ১৯৯১ সালে যশোরের অভয়নগর এলাকায় গণেশ নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত কারাবন্দি ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি ২০০০ সালে আবারো ইমান নামে আরেক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার হন। ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি কারাবন্দি ছিলেন। জামিনে কারাগার থেকে বের হয়ে তিনি ভাড়াটে কিলার হিসেবে কাজ করতেন।
জানা গেছে, আমানুল্লাহর গ্রামের বাড়ি খুলনার ফুলতলার দামোদার এলাকায়। তার বাবার নাম কায়সার সাঈদ। মায়ের নাম দোলানা বেগম। স্ত্রী ফারজানা আক্তার। তার বিরুদ্ধে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক মামলা রয়েছে।
সীমান্ত এলাকা ঝিনাইদহ-৪ আসনের টানা তিনবারের সংসদ সদস্য (এমপি) ও কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন আনোয়ারুল আজিম আনার।
গত ১১ মে সংসদ সদস্য আনার চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। ভারতে গিয়ে চার দিন ধরে নিখোঁজ বলে গত রোববার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) জানায় তার পরিবার। পরিবারের পক্ষ থেকে ডিবিকে ওই দিন জানানো হয়, চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার পর ১৬ মে থেকে এমপি আনোয়ারুলের সঙ্গে স্বজনদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এ নিয়ে তারা ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে উদ্বেগের কথা জানান।
এরই মধ্যে বুধবার দুপুরের দিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে এমপি আনোয়ারুল আজীম খুন হওয়ার খবর প্রকাশ করা হয়