টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা হচ্ছে না জিম্বাবুয়ের। তবে অন্তত এই টুর্নামেন্ট শুরুর আগে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে তারা বাংলাদেশের বিপক্ষে ভিন্ন কিছু করতে চেয়েছিল। কিন্তু হ্যাটট্রিক পরাজয়ে তারা দুই ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ খুইয়ে বসেছে। যদিও গতকাল তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে শেষদিকে কিছুটা রোমাঞ্চ ছড়িয়েছিলেন ফারাজ আকরাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভিন্ন কিছু হয়নি। যা নিয়ে মূলত টপ অর্ডারে ব্যর্থতাকে দায় দিয়েছেন তারকা ব্যাটসম্যান ক্রেইগ আরভিন।
ম্যাচ শেষে জিম্বাবুয়ের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা ক্রেইগ আরভিন বলেন, ‘টপ অর্ডারের এমন ব্যাটিং হতাশাজনক। আরও একবার আমরা ভালো শুরুর সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি। যার ফলে ১৬০-১৭০ রানও চেজ করতে পারিনি আমরা। তিন ম্যাচেই আমাদের ভালো জুটি ছিল, যেগুলো দশ ওভারের পরে এসেছে। আমার মনে হয়, শুরুর দিকে ওই জুটিগুলো করতে পারলে মিডল অর্ডার আরও ভালো করতে পারতো।’
ম্যাচ জিততে না পারার আফসোস নিয়ে আরভিন বলেন, ‘তিন ম্যাচেই প্রথম দিকের আট থেকে দশ ওভারের মধ্যে উইকেট হারিয়েছি। দলকে ভালো প্লাটফর্ম দিতে পারিনি, যেখান থেকে তারা শেষদিকে ভালো ফিনিশিং করবে। রান রেটের দিকে তাকালে দেখবেন আমরা কিছুটা ধীরগতিতে শুরু করেছিলাম, ফলে দলকে ভালো প্লাটফর্ম এনে দিতে পারিনি। শেষদিকে ভালো সুযোগ ছিল, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা জিততে পারিনি।’
বাংলাদেশের দেওয়া ১৬৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৯১ রানে আট উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। শেষদিকে অবশ্য ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও ফারাজ আকরামের মাত্র ৩০ বলে ৫৪ রানের জুটিতে সফরকারীরা ম্যাচ জয়ের পথে ছিল। শেষ পর্যন্ত সেটি না হলেও, প্রশংসা কুড়িয়েছেন ফারাজ। এর আগে টাইগারদের বড় সংগ্রহের পথে বাধা দিয়েছেন ব্লেসিং মুজারাবানি। ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান খরচ করে তিনি ৩ উইকেট শিকার করেন।
মুজারাবানির এমন বোলিংয়ের জন্য পিঠ চাপড়ে দিলেন সতীর্থ আরভিন, ‘মুজারাবানি আজ দুর্দান্ত ছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাকে যদি আরও একজন বোলার সহায়তা করত, তাহলে আমরা তাদেরকে (বাংলাদেশ) আরও কমে আটকাতে পারতাম। তবে এই রানও তাড়া করার মতো ছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আজকে তার (রিচার্ড এনাগারাভা) কিছুটা চোট ছিল। তাই আমরা তাকে বিশ্রাম দিয়েছি। আমি মনে করি না (পেসার ঘাটতি ছিল)। কারণ স্পিনাররা অন্যদিনের চেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে।’