অনিবন্ধিত (আনঅফিশিয়াল) মোবাইল হ্যান্ডসেট নিয়ে গ্রাহকদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এর কমিশনার প্রকৌশলী শেখ রিয়াজ আহমেদ। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের নেটওয়ার্কে নিবন্ধিত এবং অনিবন্ধিত উভয় নেটওয়ার্ক সচল রয়েছে। তাই অনিবন্ধিত মোবাইল হ্যান্ডসেট বন্ধ হয়ে যাবে এমনটি ভেবে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই।
বুধবার (৮ মে) দেশের টেলিযোগাযোগ সেবা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যক্রম নিয়ে বিটিআরসির গণশুনানিতে অংশ নেওয়া একজনের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ রিয়াজ বলেন, আমাদের সবার উচিত বৈধভাবে যাচাই-বাছাই করে ফোন ক্রয় করা। তবে দেশের নেটওয়ার্কে চলমান বৈধ-অবৈধ উভয়ধরনের ফোনই আমাদের আওতায় রয়েছে। তারপরও বাজারে যেসব অবৈধ ফোন প্রচলিত রয়েছে সেগুলো বন্ধ করার প্রয়োজন হলে গ্রাহকদেরকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই।
তিনি বলেন, সরকার এবং বিটিআরসির পক্ষ থেকে আমি গ্রাহকদের অনুরোধ করব সবাই যেন নিবন্ধন করা মোবাইল ফোন ক্রয় করেন। আমরা অনিবন্ধিত মোবাইলের ব্যাপারে আপনাদের নিরুৎসাহিত করছি। আবার কারো কাছে থাকা অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন থাকলে তারা যদি বিটিআরসিতে আসেন তাহলে সেগুলোর নিবন্ধনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। তাই আমি আবারও বলছি, বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। সব মোবাইল সেটই নেটওয়ার্কে কাজ করবে। কোনোটাই বন্ধ করা হবে না।
গণশুনানিতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন। সংস্থাটির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্ব কমিশনের অন্যান্য কমিশনাররাও প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন। এছাড়া সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত সংস্থার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, বিটিআরসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মোবাইল ফোন অপারেটর, টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ মোবাইল ফোন রিচার্জ ব্যবসায়ী এসোসিয়েশনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলু ,বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশের ভোক্তা সংঘের প্রতিনিধি, তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, শিক্ষক, গবেষক, গণমাধ্যমকর্মী, পেশাজীবী ও সুধীজনেরা গণশুনানিতে মতামত জানাচ্ছেন।