মানবাধিকার সমুন্নত রেখে জনগণকে নিরপেক্ষভাবে সেবা প্রদানের জন্য নবীন পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন পুলিশের আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
মঙ্গলবার সকালে পুলিশ হেডকেয়ার্টার্সের হল অব ইন্টেগ্রিটিতে ৪১তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) প্রবেশনারদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশনা দেন। অনুষ্ঠানে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে কর্মরত অতিরিক্ত আইজিপিসহ অন্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আইজিপি বলেন, পুলিশিং একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা। আগামী দিনের পুলিশিং হবে জ্ঞান ও বিজ্ঞানভিত্তিক মানবিক পুলিশিং। এ পেশায় প্রতিনিয়ত নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি সারদায় বছরব্যাপী প্রশিক্ষণে আপনারা অপরাধ মোকাবিলার আধুনিক কলাকৌশল, অপরাধ দমনে গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ইত্যাদি সম্পর্কে জ্ঞান এবং দক্ষতা অর্জন করবেন। উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী পুলিশ অফিসার হিসাবে নিজেকে গড়ে তোলার জন্য প্রশিক্ষণে কঠোর অধ্যবসায় ও নিষ্ঠার সঙ্গে আপনাদের গভীর মনোনিবেশ করতে হবে।
পুলিশ প্রধান বলেন, বর্তমানে অপরাধের ধরন ও প্রকৃতিতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আপনারা অপরাধ উদঘাটন এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার ক্ষেত্রে নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণে সচেষ্ট থাকবেন। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ পুলিশ জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। পুলিশের সক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে নিরাপদ সমাজ গঠনের লক্ষ্যে নতুন নতুন ইউনিট গঠন করা হয়েছে। পুলিশের জনবল বড়ানোর পাশাপাশি প্রশিক্ষণ আধুনিক ও যুগোপযোগী করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৪১তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচে ১০০ কর্মকর্তা এএসপি হিসাবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেছেন। তাদের মধ্যে ৯৬ জন পুরুষ এবং ৪ জন নারী।