ইনিংসের প্রথম দুই বলে চার আর তৃতীয় বলে এলো ছক্কা। দিল্লি ক্যাপিটালসের ইনিংসের শুরুতেই তাণ্ডবের নেতৃত্ব দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক। লুক উডকে দিয়ে শুরু। এরপর হার্দিক পান্ডিয়া, পীযুশ চাওলা, নুয়ান থুসারাদের কেউই রেহাই পাননি ম্যাকগার্ক এবং অভিষেক পোড়েলের ব্যাট থেকে।
–
পাওয়ারপ্লেতেই অন্তত চার রেকর্ডের সাক্ষী হয়েছেন অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে জড়ো হওয়া দর্শকরা। তবে এতে ম্যাকগার্কের অবদানই বেশি। পোড়েল সঙ্গ দিয়েছেন। অজি ওপেনারের বিদায়ের পর রানের চাকাটা খানিক স্লথ হলেও সেটাকে ধরে রেখেছিলেন এই ভারতীয়।
মুম্বাইয়ের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দুই ওভারে ৩৭ রান তোলে দিল্লি। চার বল পরেই দলীয় পঞ্চাশ পূরণ করে তারা। ২.৪ ওভারে দলীয় ফিফটির এই রেকর্ড আইপিএল ইতিহাসেই দ্রুততম দলীয় ফিফটি। দলীয় পঞ্চাশের পথে ৪৬ রানই করেছেন ম্যাকগার্ক। ১৪ বলে ছিল ৪৬ রান। নিজের পরের বলেই অর্ধশতক হাঁকান এই অজি ওপেনার। এবারের আইপিএলে যা দ্রুততম ফিফটি। ১৫ বলেই অবশ্য এর আগে ফিফটি করেছিলেন ম্যাকগার্ক। নিজের সেই রেকর্ডেই আবার ভাগ বসালেন এই অজি ওপেনার। ৮ চার এবং ৩ছক্কায় ফিফটি পূরণ করেন তিনি।
–
৬ ওভার শেষে নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ আর আইপিএল ইতিহাসে পাওয়ারপ্লেতে চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করেছে দিল্লি ক্যাপিটালস। মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ৬ ওভার শেষে ৯২ রান তুলেছে দিল্লির দুই ওপেনার। এরপরেই অবশ্য ম্যাকগার্ক ফিরেছেন পীযুশ চাওলার বলে।
–
তার আগে নিজের ২৭ বলে ৮৪ রানের ইনিংসে করেছেন আরও দুই রেকর্ড। পাওয়ারপ্লেতে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডে চারে উঠেছেন ম্যাকগার্ক। ৭৮ রান করে এই তালিকায় তিন উঠে এসেছেন তিনি। আর ৫০ পেরুনো ইনিংসে বাউন্ডারি থেকে সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রহও করেছেন ম্যাকগার্ক। ৮৪ রানের মাঝে ৮০ রানই করেছেন বাউন্ডারিতে। শতকরা হিসেবে ৯৫.২৩ রান বাউন্ডারি থেকেই নিয়েছেন তিনি।
আবার আইপিএল কমপক্ষে ২০ বল খেলেছে এমন ইনিংসে ৩০০ এর ওপর স্ট্রাইকরেট ছিল মোটে দুইজনের (সুরেশ রায়না ও ইউসুফ পাঠান)। আজ তাতে নাম লিখিয়েছেন ৩১১.১১ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করা ফ্রেজার ম্যাকগার্ক। রায়নার ২৫ বলের ৮৭ রানের ইনিংসে স্ট্রাইকরেট ছিল ৩৪৮। আর ইউসুফ পাঠান ২২ বলে ৭২ রানের ইনিংসে স্ট্রাইক রেট ছিল ৩২৭.২৭।