কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ‘কাদা ছোড়াছুড়ির রাজনীতি’র পথ এড়িয়ে বামদের সঙ্গে যৌথ রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন। মঙ্গলবার ভারতের আগরতলার মহারাজা বীর বিক্রম মাণিক্য বিমানবন্দরে পৌঁছনোর পরে শহরের দুর্গা চৌমহনি এলাকা থেকে রোড-শো শুরু করেন প্রিয়াঙ্কা।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা ত্রিপুরা পশ্চিম লোকসভা আসনের কংগ্রেস প্রার্থী আশিস সাহা, কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা সুদীপ রায়বর্মনের পাশাপাশি তার সঙ্গে ছিলেন সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ শঙ্করপ্রসাদ দত্ত। রোড-শোতে বিপুল জনসমাগম হয়েছিল। সেখানে তিনি দিয়েছেন পাঁচ প্রতিশ্রুতি। যার উপর ভিত্তি করেই এ বার লোকসভা ভোটের ইস্তাহার প্রকাশ করেছে কংগ্রেস।
পরে এক্স হ্যান্ডলে প্রিয়াঙ্কা লেখেন, ‘আজ আমি ত্রিপুরা পশ্চিমে মা ত্রিপুরেশ্বরীর ভূমিতে রোড-শো করেছি এবং এখানকার ভাইবোনদের সঙ্গে দেখা করেছি। কংগ্রেসের পাঁচ প্রতিশ্রুতি নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রচণ্ড উৎসাহ। কংগ্রেস ৩০ লক্ষ চাকরি, কৃষকদের ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি), নারীদের জন্য বার্ষিক এক লক্ষ টাকা অনুদান, ভূমিহীনদের জমি এবং দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে শিক্ষার প্রতিশ্রুতি পালন করবে।’
আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ত্রিপুরার দুটি লোকসভা আসনেই ভোটগ্রহণ হবে। এবার সেখানে বিজেপির সঙ্গে বাম-কংগ্রেস জোটের লড়াই হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ত্রিপুরার রাজপরিবারের সন্তান প্রদ্যোতকিশোর দেববর্মণের দল তিপ্রা মথার সঙ্গে এবার জোট গড়েছে বিজেপি। পূর্ব ত্রিপুরা আসনে ‘পদ্ম’ প্রতীকে প্রার্থী হয়েছেন প্রদ্যোতের দিদি কীর্তি সিংহ দেববর্মা। পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।
অন্যদিকে, জনজাতি অধ্যুষিত পূর্ব ত্রিপুরা আসনে জোটের পক্ষে লড়ছে সিপিএম। প্রার্থী হয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক রাজেন্দ্র রিয়াং। পশ্চিম ত্রিপুরা কেন্দ্রে জোটের পক্ষে লড়ছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশিস।
২০১৯-এ ত্রিপুরার দুটি আসনে জিতেছিল বিজেপি। পেয়েছিল প্রায় ৪৯ শতাংশ ভোট। দুটিতেই দ্বিতীয় স্থানে থাকা কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছিল ২৫ শতাংশের বেশি ভোট। তৃতীয় স্থানাধিকারী বামেদের ঝুলিতে ১৭ শতাংশ। মোদী সোমবার ভোটের প্রচারে ত্রিপুরা গিয়ে বামেদের বিরুদ্ধে যুবসমাজের হাতে বন্দুক তুলে দিয়ে সন্ত্রাসের পথে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন।