সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে ঝিনাইদহের কয়েকটি গ্রামের মানুষ আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছেন। বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল ৮টায় হরিণাকুন্ডু উপজেলা মোড়ের গোলাম হযরতের মিল চত্বরসহ কয়েকটি এলাকায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন বিভিন্ন এলাকার প্রায় শতাধিক মুসল্লি।
ঈদ জামাতের আয়োজকরা জানান, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে তারা কয়েক বছর ধরে ঈদ জামাতের আয়োজন করে থাকেন। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বংকিরা, হরিণাকুন্ডু উপজেলার কুলবাড়ীয়া, নারায়নকান্দি, বৈঠাপাড়া, বোয়ালিয়া, চটকাবাড়ীয়া, ফলসী, পায়রাডাঙ্গা, নিত্যানন্দরপুর, শৈলকুপা উপজেলার ভাটই ও চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলা থেকে মুসল্লিরা আসেন ঈদের নামাজ পড়তে। এ ছাড়া হরিণাকুন্ডুর ভালকী বাজার ও চরপাড়া পুড়াহাটি এলাকায় ইদের নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।
রাজশাহীর কাটাখালি এলাকা থেকে ঈদের নামাজ পড়তে আসা ওয়াজেদ বলেন, চাঁদ উঠার ওপর নির্ভর করেই রোজা রাখা এবং ঈদ উদযাপন করা হয়। পৃথিবীর আকাশে চাঁদ দেখা গেছে, শুধু বাংলাদেশ ছাড়া সৌদি আরবসহ সকল মুসলিম দেশে আজ ঈদ উদযাপিত হচ্ছে। এ কারণে আমরা তাদের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করছি।
ঈদের জামাতের সাধারণ সম্পাদক শাখায়াত হোসেন বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদের নামাজ আদায় করছি। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আমরা রাসুল (সা.) এর সুন্নাহ অনুসরণ করার জন্যই এই ঈদ জামাতের আয়োজন করেছি।
ঈদ জামাতের ইমাম রেজাউল ইসলাম ঢাকা বলেন, পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় চাঁদ দেখা গেলেই আমরা রোজা ও ঈদ উদযাপন করি। যদি কোনো মুসলিম চাঁদ দেখতে পাই তাহলে রোজা রাখতে হবে এবং একই নিয়মে ঈদের নামাজ আদায় করতে হবে। যেহেতু পৃথিবীর আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে এজন্য আজ ঈদ উদযাপন করা হয়েছে।
হরিণাকুন্ডু থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান বলেন, হরিণাকুন্ডুতে তিনটি জায়গায় সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে কিছু মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। নিরাপত্তার স্বার্থে ঈদের নামাজে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।