উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের জামানত লাখ টাকা থেকে কমিয়ে আগের অবস্থানে ফেরাতে বিধি সংশোধন করার দাবি জানিয়েছে জনস্বার্থ রক্ষা জাতীয় কমিটি। গতকাল রবিবার সংগঠনটির আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম বুলু গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি জানান।
আমিনুল ইসলাম বুলু বলেন, নির্বাচনী বিধি সংশোধন করে সম্প্রতি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের ক্ষেত্রে ১০ হাজার টাকার পরিবর্তে এক লাখ টাকা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের ক্ষেত্রে পাঁচ হাজার টাকার পরিবর্তে ৭৫ হাজার টাকা জামানত ধার্য করা হয়েছে। জনস্বার্থ রক্ষা জাতীয় কমিটির বিবেচনায় গেজেটে নির্ধারিত জামানত কোনোভাবেই আমাদের দেশের বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
জনস্বার্থ রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক আরো বলেন, যেখানে সদ্য শেষ হওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের জামানত ছিল ২০ হাজার টাকা, সেখানে কিভাবে কোন বিবেচনায় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধি সংশোধন করে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে আগের ১০ হাজার ও পাঁচ হাজার টাকার পরিবর্তে যথাক্রমে এক লাখ ও ৭৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছে? তিনি উপজেলা নির্বাচনের সংশোধিত বিধি ফের সংশোধন করে আগের অবস্থানে ফিরে যাওয়ার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারের প্রতি দাবি জানান।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা ও আচরণবিধি সংশোধন করে প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। এতে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামানত যথাক্রমে এক লাখ ও ৭৫ হাজার টাকা নির্ধারণ এবং চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে ভোটারের সমর্থনসূচক সইসহ তালিকা জমা দেওয়ার বিধানও বাদ দেওয়া হয়েছে।