চারদিকে খরস্রোতা পদ্মা বেষ্টিত কয়েকটি গ্রাম, যেখানে এখনো মানুষের মূল পেশা মাছ শিকার ও কৃষিকাজ। একটু সচ্ছল পরিবারে জন্ম না হলেই ছেলে শিশুদের বাবার সঙ্গে মাছ শিকার আর মেয়ে শিশুদের মায়ের সঙ্গে গৃহস্থালির কাজ শিখতে হত। স্কুলের অভাবে সমবয়সীদের এমন পরিণতি মানতে পারেননি শহরের স্কুলপড়ুয়া কিশোর শাহ আলম মৃধা। তাই ছুটি পেলেই গ্রামে এসে স্কুলের দাবিতে সমবয়সীদের একত্র করে গ্রামের মেঠোপথ ধরে মিছিল-মিটিং করতেন।
কিশোর বয়সে ছেলের এমন কর্মকাণ্ড মানতে না পেরে শাহ আলমকে তার বাবা মারধরও করেন। মারধর করে মিছিল-মিটিং বন্ধ করতে পারলেও শাহ আলমের স্বপ্নকে দাবিয়ে রাখা যায়নি। পড়াশোনা শেষে চাকরি পেয়ে এ বছর গ্রামে একটি স্কুল গড়ে তুলেছেন তিনি। স্কুলের অভাবে এখন আর কাউকে যেতে হবে না মাছ শিকারে, শিখতে হবে না গৃহস্থালির কাজ। স্কুলটিতে এ বছরের শুরু থেকেই রঙিন বইয়ে জীবন রাঙাতে শুরু করেছে পদ্মার চরের শিশুরা।
সম্প্রতি এমনই তথ্য জানা যায়, শরীয়তপুরের সখিপুর থানার পদ্মা বেষ্টিত কাঁচিকাটা ইউনিয়নের মৃধা বাড়ি নবীন কুঁড়ি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। প্রথমবারের মতো স্কুলটিতে এ বছরের শুরু থেকেই শতাধিক শিক্ষার্থী পাঠদান শুরু করেছে। স্কুলটির উদ্যোক্তা কাঁচিকাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ মাথাভাঙা গ্রামের মজিবুর রহমান মৃধার ছেলে শাহ আলম মৃধা।